Joya Pati
Quick Facts
Biography
জয়া পতি (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ - ৯ ডিসেম্বর ২০১৬) একজন বাংলাদেশী নারী শিক্ষাকর্মী এবং সমাজসেবী। তিনি ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ এবং কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক (মরণোত্তর) লাভ করেন।
জন্ম ও পরিবার
জয়া পতি ১৯৩২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রণদা প্রসাদ সাহা এবং মা কিরণ বালা সাহা। তার স্বামীর নাম বিষ্ণুপদ পতি।
শিক্ষাজীবন
জয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ১৯৫০ সালে শরীরচর্চা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
কর্মজীবন
কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে নিয়ে যায় । এরপর তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাবার অবর্তমানে জয়া কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
জয়া পতি ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ, ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৯৭১ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সমাজসেবা, নারী শিক্ষার বিস্তার ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবামূলক একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
তিনি দায়িত্বে থাকাকালে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ১৯৮২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করে।
মৃত্যু
জয়া পতি ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক (মরণোত্তর) লাভ করেন।
আরও দেখুন
- রণদা প্রসাদ সাহা
- কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট
- বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক