Molla Nazrul Islam
Quick Facts
Biography
মোল্যা নজরুল ইসলাম (জন্ম ৩০ জুন ১৯৭৩) হলেনআর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি। ইতিপূর্বে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি ২০১৯ সালে নৌ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
নজরুল খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
কর্মজীবন
নজরুল ২০০৭ সালে গাইবান্ধা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১২ সালে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি ডিবি) দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে তাকে জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে জয়পুরহাট মিশন শেষে মোল্যা নজরুলকে বিশেষ পুলিশ সুপার পদে অপরাধ তদন্ত বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক বিশেষায়িত ইউনিট নৌ পুলিশে। ২০২২ সালের ১৩ জুলাই তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন।
সমালোচনা
মোল্লা নজরুল ঢাকা মহানগর (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ডিসি থাকা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে এক কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর নড়াইল এলাকার সরকারদলীয় সাংসদ কবিরুল হক নিজস্ব প্যাডে মোল্লা নজরুলের নেতৃত্বে ঘুষ নেওয়ার লিখিত অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অভিযোগপত্রের অনুলিপি দেন। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আবিদুল ইসলাম সাংসদ কবিরুল হকের আত্নীয়। ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ বিভাগসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ডিসি নজরুলকে ওই পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর, মোল্লা নজরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক ও জানায়, “ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সঙ্গে মোল্লা নজরুলের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে আসামি করা হয়নি”।