Harihar Seth
Quick Facts
Biography
হরিহর শেঠ (ইংরেজি: Harihar Seth) (১৪ ডিসেম্বর ১৮৭৮ — ১০ মার্চ ১৯৭২) একজন বিদগ্ধ বাঙালি সাহিত্যিক ও ইতিহাসবেত্তা।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
হরিহর শেঠের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগরের পালপাড়ায়। পিতার নাম নিত্যগোপাল শেঠ আর মায়ের নাম কৃষ্ণভামিনী দেবী। তৎকালীন শিক্ষিত বঙ্গসমাজে হরিহর শেঠের বিশেষ পরিচয় ছিল। 'প্রবাসী', 'ভারতবর্ষ', 'মাসিক বসুমতী' 'বঙ্গবাণী', 'ভারতী', 'বিচিত্রা', 'প্রদীপ' প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। চন্দননগরের বিভিন্ন সমাজের সেবামূলক বহু কাজ করতেন। ফরাসি সরকার প্রবর্তিত উপনিবেশ শহর চন্দননগর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে জুনের গণভোট স্বাধীন হওয়ার পর তিনি প্রথম সভাপতি মনোনীত হন। আধুনিক চন্দননগর গঠনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে চন্দননগরে প্রথম মহিলা উচ্চ বিদ্যালয় 'কৃষ্ণভামিনী নারীশিক্ষা মন্দির' গঠন করেন। বিশাল পাঠাগার সঙ্গে নাট্যমঞ্চ নিয়ে 'নিত্যগোপাল স্মৃতি মন্দির', অঘোরচন্দ্র শেঠ প্রাইমারি স্কুলসহ দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিনি স্থাপন করেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের আজীবন সদস্য এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে চন্দননগরের জাহ্নবী আবাসে (বর্তমানে রবীন্দ্র ভবনে) ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত বিংশতি বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের প্রধান সংগঠক ছিলেন। ফরাসি সরকার তাঁকে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ' 'লেজিয়ঁ দনার' বা 'Chevalier de I'Ordre National de la Legion d'honneur' এবং ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ' Officer de I'instruction publique' এবং ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে 'Officer d'Academie' উপাধি প্রদান করে। 'স্বদেশী বাজার' পত্রিকার সম্পাদক দুর্গাদাস শেঠ হরিহরের অনুজ।
সাহিত্যকর্ম
হরিহর শেঠের উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল 'প্রাচীন কলিকাতা পরিচয়' নামে মহানগর কলকাতার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা। তাছাড়া তার রচিত 'চন্দননগর পরিচয়' হল তৎকালীন ফরাসি উপনিবেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ। হরিহর শেঠ রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল -
- 'মুক্তিসংগ্রামে চন্দননগর'
- 'অভিশাপ'
- 'প্রতিভা'
- 'স্রোতের ঢেউ'
- 'অমৃত গরল'
- 'পুরাতনী'