Abdul Hamid Chowdhury
Quick Facts
Biography
আবদুল হামিদ চৌধুরী ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ ও জমিদার যিনি পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ সরকার তাকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করে কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন নির্যাতন, বৈষ্যমের প্রতিবাদে এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে এই উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন।
কর্মজীবন
আবদুল হামিদ চৌধুরী ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বঙ্গীয় আইন পরিষদের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতাস্থ তৎকালীন পাকিস্তান হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও কূটনৈতিক কোরের ডিন ছিলেন। তিনি আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ও আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে রাজনীতি করতেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি টানা ৪০ বছর প্রথমে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা বোর্ডের সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের স্কুল কমিটির প্রথম মুসলিম সভাপতি ছিলেন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
আবদুল হামিদ চৌধুরী টাঙ্গাইল জেলার (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তর ময়মনসিংহ) কালিহাতি উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার একমাত্র পুত্র আবু সাঈদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশের বিচারপতি এবং রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার দৌহিত্র আবুল হাসান চৌধুরী শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আবদুল হামিদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ Nation, The New। "Death anniversary of Abdul Hamid Chowdhury today"। The New Nation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Abdul Hamid Chowdhury"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "আব্দুল হামিদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সাবেক স্পিকার আব্দুল হামিদ চৌধুরীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "প্রখ্যাত-ব্যক্তিত্ব"। মধুপুর উপজেলা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০।