Mahim Chandra Das

Anti-British Bengali revolutionary
The basics

Quick Facts

IntroAnti-British Bengali revolutionary
PlacesIndia
wasRevolutionary
Gender
Male
Birth29 January 1871
Death3 April 1940Kolkata, Bengal Presidency, British Raj, India (aged 69 years)
Star signAquarius
The details

Biography

মহিমচন্দ্র দাস (২৯ জানুয়ারি ১৮৭১ ― ৩ এপ্রিল ১৯৪০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সংগ্রামীকর্মী এবং অবিভক্ত বাংলার জনপ্রিয় নেতা। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত'র সহযোগী হিসাবে এবং চট্টল গৌরব নামে সুপরিচিত এবং নিষ্ঠাবান কংগ্রেসকর্মী ছিলেন তিনি।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

মহিমচন্দ্র দাসের জন্ম ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বর্তমানে পটিয়া উপজিলার ভাটিখাইনে। পিতা ছিলেন যাত্রামোহন দাস। গ্রামের পাঠশালার শিক্ষা সমাপনান্তে মেধাবী ছাত্র মহিমচন্দ্র চট্টগ্রামের পটিয়া উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয় থেকে রায়বাহাদুর বৃত্তিসহ ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স, পরে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফ.এ এবং ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সিটি কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি কিছুদিন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে আইন পরীক্ষা পাশের পর চট্টগ্রামের জেলা আদালতে আইনজীবি হিসাবে যোগ দেন।

স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা ও রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ

আইনজীবির কাজকর্মের পাশাপাশি মহিমচন্দ্র স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ- প্রতিরোধ আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা নেন। তিনি ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে সাপ্তাহিক পত্রিকা পাঞ্চজন্য-এর প্রকাশনা শুরু করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের বিরূপ মনোভাবের কারণে পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তিনি ১৯২১ আইন ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদেন ও চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হন। পরে অবশ্য জননায়ক যাত্রামোহন সেনের বিলাত ফেরত ব্যারিষ্টার পুত্র দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত চট্টগ্রামের রাজনীতিতে অবতীর্ণ হলে মহিমচন্দ্র তাঁকে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়ে নিজে সম্পাদক হন। ওই বছরের এপ্রিলে বার্মা অয়েল কোম্পানির শ্রমিক ধর্মঘট ও তার সমর্থনে সর্বাত্মক হরতাল এবং অসম-বেঙ্গল রেলওয়ের প্রায় পনের হাজার কর্মচারী তিন মাস ব্যাপী ধর্মঘট আন্দোলনে অনেকের সঙ্গে তিনিও সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দেই কালীকিঙ্কর চক্রবর্তীর সাপ্তাহিক জ্যোতিঃ পত্রিকা দৈনিকে রূপান্তরিত হলে তিনি সম্পাদনার ভার গ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই যে, সেসময়ে কলকাতার বাইরে মফস্বল হতে প্রথম প্রকাশিত দৈনিক তথা অধুনা বাংলাদেশের প্রথম বাংলা দৈনিক ছিল এটি। সরকারি রোষে এই পত্রিকাটিও ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বন্ধ হয়ে যায়। তার বৈমাত্রেয় অনুজ অম্বিকাচরণের সহায়তায় পাঞ্চজন্য দৈনিক পত্রিকা হিসাবে প্রকাশ শুরু করেন। মহিমচন্দ্র প্রকৃতপক্ষে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তর সহকর্মীরূপে চট্টগ্রাম আন্দোলন পরিচালিত করেছিলেন, তার ফলস্বরূপ, স্বাধীনতা আন্দোলনে সারা ভারতে চট্টগ্রাম বিপ্লবের এক সুপরিচিত কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে লবণ সত্যাগ্রহ পরিচালনা করে কারারুদ্ধ হন। কারাগার হতে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হন এবং আমৃত্যু ওই পদ অলংকৃত করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি কংগ্রেসপ্রার্থীরূপে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। নীরব কর্মযোগী হিসাবে দেশ ও দশের জন্য কাজ করে গেছেন। বস্ত্র শিল্পসহ নানা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি, নারী শিক্ষার জন্য 'পাথরঘাটা বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন, সমবায় আন্দোলনে ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সূত্রপাত করেন। চট্টগ্রামের প্রায় সমস্ত ধর্ম, সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক সংস্থার সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। জনপ্রিয়তা মিলেছিল চট্টল গৌরব নামে।

জীবনাবসান

মহিমচন্দ্র দাস ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ৩ এপ্রিল (১৩৪৭ বঙ্গাব্দের ২১চৈত্র) কলকাতার আইডিয়েল হোমে প্রয়াত হন।

তথ্যসূত্র

The contents of this page are sourced from Wikipedia article on 08 Mar 2024. The contents are available under the CC BY-SA 4.0 license.