Chand Mia

Bangaladeshi freedom fighter
The basics

Quick Facts

IntroBangaladeshi freedom fighter
A.K.A.Bir Protik
A.K.A.Bir Protik
PlacesBangladesh
isFighter
Gender
Male
Death29 October 1977
The details

Biography

চাঁদ মিয়া (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২৯ অক্টোবর, ১৯৭৭) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

চাঁদ মিয়ার জন্ম মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ফজর আলী বেপারি এবং মায়ের নাম হাসেবান বিবি । তাঁর স্ত্রীর নাম কাছমেরি খানম। তাঁর পাঁচ ছেলে।

কর্মজীবন

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘বি’ (ব্রাভো) কোম্পানির সিনিয়র জেসিও (সুবেদার) ছিলেন চাঁদ মিয়া। ১৯৭১ সালের মার্চে তাঁর কোম্পানির অবস্থান ছিল গাজীপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। অধিনায়ক ছিলেন পাকিস্তানি (পাঞ্জাবি) এবং এখানে বাঙালি কোনো সেনা কর্মকর্তা কোম্পানিতে ছিলেন না। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি সাহসী এক ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্রাভো কোম্পানির বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ করেন। তাঁদের বিদ্রোহের খবরে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অন্যান্য কোম্পানির সদস্যরাও অনুপ্রাণিত হন। চাঁদ মিয়া সমরাস্ত্র কারখানার অস্ত্রাগারের প্রধান দরজা বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে সেখানে রক্ষিত অস্ত্রশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ছাত্র-জনতার মধ্যে বিতরণ করেন। স্বাধীনতার পর চাঁদ মিয়া ১৯৭৭ সালে ২২ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সুবেদার মেজর হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর আখাউড়ায় সারা দিন ধরে তুমুল যুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে চাঁদ মিয়ার কোম্পানির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট বদিউজ্জামান পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন। চাঁদ মিয়া তখন তাঁর একদম কাছেই ছিলেন। এরপর যুদ্ধের নেতৃত্ব এসে পড়ে তাঁর ওপর। কিছুক্ষণ পর চাঁদ মিয়াও গোলার স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন। তুমুল গোলাগুলিতে গোটা এলাকা তখন প্রকম্পিত। সহযোদ্ধাদের নিয়ে বীরত্বের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ মোকাবিলা করছেন চাঁদ মিয়া। এমন সময় তাঁর চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হলেন তাঁদের অধিনায়ক। যুদ্ধে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব তখন তাঁর ওপর। সাহসিকতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করতে থাকলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ পারলেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি নিজেও আহত হলেন। জ্ঞান থাকা অবধি নেতৃত্ব দিয়ে গেলেন।

পরে চাঁদ মিয়া তাঁর দলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ময়মনসিংহ হয়ে সমবেত হন তেলিয়াপাড়ায়। সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় রামগড়ে। সেখানে তিনি তাঁর দল নিয়ে হাটহাজারী-নাজিরহাট-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধে অংশ নেন। পরে কিছুদিন ৩ নম্বর সেক্টরে এবং এরপর ‘এস’ ফোর্সের অধীনে যুদ্ধ করেন।

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • বীর প্রতীক

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

The contents of this page are sourced from Wikipedia article. The contents are available under the CC BY-SA 4.0 license.